পানি উন্নয়ন বোর্ডের ” হিদইখাল বাঁধ” সর্বনাশী ফাঁদ

প্রকাশিত: ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২০

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ” হিদইখাল বাঁধ” সর্বনাশী ফাঁদ

সোহেল আহমদ ঃ বৃহত্তর জৈন্তা (সিলেট)য় অপরিকল্পিত, অপরিণামদর্শী বাঁধ, স্লুইসগেট নির্মাণ, বৈঠাখাল, কাটাগাং, ভাদরুখা নদীসমূহ চিরতরে বন্ধ করে দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বনাশ করেছে। হাজার হাজার একর জৈন্তার সীমান্ত চাষীদের ফসলী জমি কেড়ে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সারী গোয়াইন প্রজেক্ট নামে কৃষকদের জন্য ধ্বংসের ফাঁদ পেতেছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে লোকাল বোর্ডের সুষ্ঠু পরিকল্পনাবিহীন বাঁধ, স্লুইসগেট নির্মাণ। হিদইখাল বাঁধ নির্মাণ, প্রাকৃতিক নদীর স্রোত পরিবর্তিত করে, জলজ প্রাণীকূল ধ্বংস, ফসলী জমিতে পলি না পড়া, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করা, হাওর বিল ধ্বংস করা এগুলো করে কৃষক সহ গোটা জৈন্তার অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। তার মধ্যে করোনা সংকট। অকাল বন্যা, বারে বারে বন্যা, অভূতপূর্ব বন্যা, মেঘালয়ের পাহাড়ী ঢ্ল বৃহত্তর জৈন্তার মানুষকে দিশেহারা করে দিয়েছে। দুর্বার গণ আন্দোলন ছাড়া জৈন্তার মানুষের স্থায়ী মুক্তির কোন রাস্তা আর খোলা নেই। এবারকার বারে বারের বন্যা বুঝিয়ে দিল এই সংকট টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের তৈরী৷ আমরা বৃহত্তর জৈন্তার মানুষ বিপন্ন। বারেবারের বন্যায় চাষীদের রোপা ধান, বীজতলা সব পচিয়ে ফেলেছে। কারণ অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ চূড়ান্তভাবে ‘ওয়াটারলগ্ড’ করে দিয়েছে। বৈঠাখাল, কাটাগাং নদী সমূহের ওপর ব্রিটিশ আমলে পরিকল্পিত ও নির্মিত সেতু গুলো উঠিয়ে দিয়ে পানি যাওয়ার জন্য ছোট ছোট চোং বসানো হয়েছে। ফলে পানি কাটে না। ফলে জৈন্তাপুরের ৬ টি ইউনিয়ন, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ আহাজারি করছে। বন্যা, সীমান্তে পাথরখেকোর কারণে ভূমিধস, সারী নদীকে ধ্বংস মানে হচ্ছে গোটা এলাকাকে চিরস্থায়ী দরিদ্র বানিয়ে রাখা। এর মধ্যে কৃষককূল বাচানোর জন্য সরকার আর্থিক সাহায্য, উন্নত মানের বীজ প্রদান, ট্রাক্টার সরবরাহ, সেচ যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কোন আভাস নেই। সংসদেও এগুলো নিয়ে কোন উদ্যোগ নেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ