ছাতকে মিজান-আমিরের স্বপ্ন তিনবারে বন্যায় ভেসে গেল

প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

ছাতকে  মিজান-আমিরের স্বপ্ন তিনবারে বন্যায় ভেসে গেল

ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে মিজানুর রহমান ও আমির হোসেনের স্বপ্ন তিনবারে বন্যায় ভেসে গেছে পানিতে। ভাড়া করা অন্যের ৬ কেদার পুকুরে মাছ চাষ করে অধিক লাভের সেই স্বপ্ন মুছে গেছে এ দু’পার্টনারের। ফলে লাভের স্থলে তারা মুলধন খুয়ে এখন দিশেহারা। পুকুরের ভাড়ার টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়েও চাষিরা পড়েছেন বেকায়দায়।
জানা যায়, মাছ চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখেন উপজেলার পৌরশহরের নোয়ারাই মহল্লার গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান ও মৃত আলা উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেন। তারা দু’পার্টনার মিলে পার্শ্ববর্তী নোয়ারাই ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের কাছে সৌদি আরব প্রবাসীর ৬ কেদার জমিতে তৈরি করা পরিত্যক্ত খামারটি ৩৫হাজার টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য ভাড়ায় গ্রহণ করেন। পরে এপ্রিল মাসে পুকুরটি মাছ চাষের উপযোগি করে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন ধরণের মাছের পোনা ছাড়েন। পোনা ক্রয়সহ প্রায় লাখ টাকা ব্যয় হয় তখন। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে খামারের মাছের যাবতীয় পরিচর্যা ঠিক মত চলে আসছিল। এতে প্রতিটি মাছ দ্রুত বেড়ে বলিষ্ট হয়ে দেহের গঠন দেখে চাষিরা ছিলেন আনন্দে। প্রতিটি মাছ ৪০টাকায় বিক্রি হওয়া সম্ভব ছিল। সময় মতো পুকুর থেকে মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করে অধিক লাভের মুখ দেখবেন এমন প্রত্যাশায় শ্রমিক নিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে আসছিলেন পার্টনারদ্বয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ২৬ ও ২৭ জুন দু’দিনের টানা ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয় এবং পুকুরের চার পাশে জাল ফেলে মাছ রক্ষা করা হয়। আকস্মিক বন্যার পানি কমতে না কমতেই দু’সপ্তাহের ব্যবধানে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে যায় উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা। সে সাথে শেষ রক্ষা হয়নি খামারটির। পানির সাথে ভেসে যায় খামারের মাছ। সেই সাথে ভেসে যায় পার্টনারদ্বয়ের অধিক লাভের স্বপ্ন। ওই বন্যার পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলে উপর্যপরি ভাবে আবারও তৃতীয় দফা বন্যায় উপজেলা বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে মিজান ও আমিরের মতো অসংখ্য খামারীদের স্বপ্ন ভেসে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মিজানুর রহমান বলেন, বন্যায় তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। লাভের স্থলে মুলধন হারিয়ে তারা এখন সর্বশান্ত। পর পর তিন দফা বন্যায় তাদের দু’পার্টনারের ৭লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ