মধ্যনগরে স্বামী পল্লব বিশ্বাস থাকতে, পিতার আশ্রয়ে স্ত্রী সেবা বিশ্বাস!

প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

মধ্যনগরে স্বামী পল্লব বিশ্বাস থাকতে, পিতার আশ্রয়ে স্ত্রী সেবা বিশ্বাস!

সিলেটের দিনরাত ডেস্ক রিপোর্টঃধাপ-১ চলমান
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার সদর ইউনিয়নের করুয়াজান গ্রামের পুতুল তালুকদার(অতুল)র মেয়ে সেবা রানী বিশ্বাস বিয়ের পরে স্বামী বেচে থাকতেও মা ও মেয়ে ভরণ পোষন থেকে বঞ্চিত হয়ে, বাবার বাড়িতে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সেবা।
সেবা রানী বিশ্বাসের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত২০০৩ সালে আজ থেকে ১৭ বছর পুর্বে একই গ্রামের দয়াময় বিশ্বাসের ২য় পুত্র পল্লব বিশ্বাস উভয়ের ভালবাসার সম্পর্ক সৃষ্টির পরে সামাজিকভাবে সাত পাকের মাধ্যমে, সিঁতিতে সিদুর দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন পল্লব বিশ্বাস সেবা রানী বিশ্বাস কে।পরপরেই ফুটফুটে মেয়ে বাচ্চার জন্ম দেন তারা,সৈ মেয়ে বাচ্চাটি (২০২০)এর ফলাফলে এস এস সি তে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বিবাহিত স্ত্রী সেবা রানী বিশ্বাসের অভিযোগ
তার স্বামীর পরিবারের লোকজনের কারনে আজ দিশাহাড়া হয়ে মেয়ে বাচ্চাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে অসহায় হয়ে থাকতে হচ্ছে। স্বামী পল্লব বিশ্বাস স্ত্রী সেবা রানী বিশ্বাস কে স্ত্রীর মর্যাদা, ভরণ পোষন,দায়িত্ব, এমনকি কোন খোঁজ খবর পর্যন্ত নেন না স্ত্রী ও তার ঔরসজাত মেয়ে বাচ্চার।সেবা স্বামীর অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছেন আজও নিরাশ হন নি।জানা যায় এরি মধ্যে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টাও করেছেন স্থানীয় বিচারকগন।কিন্তু কোন সুরাহা আসে নি। সেবা র ভাষ্যমতে প্রচুর সম্পত্তির লোভ লালসার মধ্যেদিয়ে ধামাচাপা দিতে ব্যার্থ হন অনেকেই।তবে তার মেয়ে কে বাবা –পল্লব বিশ্বাসের লোকজন নিতে চায় কিন্তু স্ত্রী কে ভরণ পোষন করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে তার পরিবারের লোকজন।
স্ত্রী সেবা র বিশেষ কথা হলো আমি —দয়াময় বিশ্বাসের পুত্রবধূ কিন্তু, বিবাহের পরে ৬ মাসের গর্ভাবস্থায় রেখে চলে যায় স্বামী। আমাকে দোকানে কাজ করবে বলে পরিবারের পরোচনায় আমার পিত্রালয়ে রাখে আমার স্বামী। তার পরিবারের লোক জন আমাকে মানতে না পারায় আমার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে স্বামীকে তাদের সকলের পরামর্শে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেয় অন্য কোথাও, যা আমাকে জানায় বিদেশে চলে গেছে। এ এপর্যন্ত আমার স্বামী পল্লব বিশ্বাসের কোন খোঁজ পাই নি। কয়েক বার আমাকে নিয়ে শ্বশুর দয়াময় বিশ্বাস বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যে আমার স্বামীকে উপস্থিত না করেই বিচার বৈঠকে বসিয়েছেন।সবশেষে জানতে পারি আমার স্বামীকে দেশে রেখেই সুনামগঞ্জের বীরকলস নামক গ্রামে এক মেয়েকে পুনরায় বিয়ে করে ছেলে সন্তানের জনক হয়েছে স্বামী পল্লব। আমার সাথে এমন জগন্যতম আচরন করে আসছে আমার শ্বশুর ও তার পরিজন,গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে কয়েক বার, এমনকি পিতার বাড়িটি নিয়েও চক্রান্ত চালাচ্ছে । বর্তমানে আমি আমার বাবা ও ভাইয়ের মাথায় বোঝা হয়ে মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছি।
আমার সবিনয়ে প্রার্থনা আমার নয় মেয়েটির ভবিশ্যতের কথা চিন্তা করে তার পিতার কাছে যেন টেনে নেন আমাকে এঠা দেশের বিচার বিভাগের প্রতি আমার শ্রদ্ধাশীল মননে আবারো আকুল আবেদন করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ